প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০১৬ ৭:৩৩ এএম

chatri-songsthaঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্রী সংস্থা’র কার্যক্রমকে নজরদারিতে আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে এ নজরদারি শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসলামী ছাত্রী সংস্থা’র মূল উদ্দেশ্য কোমলমতি ছাত্রী ও সরলমনা ধর্মভীরু মহিলাদের জিহাদে অংশগ্রহণসহ প্রচলিত সংবিধানের বাইরে সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য জিহাদি মনোভাবাপন্ন করে তৈরি করে মাঠে নামানো। এছাড়া, বর্তমান সময়ে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ কারণে মূল দল জামায়াতের অর্থায়নে তাদেরই নারী টিম হিসেবে ‘ইসলামী ছাত্রী সংস্থা’র কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করছে।

সংস্থার কর্মীরা গ্রামগঞ্জ ও স্কুল-কলেজভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা ‘জাহান্নামের আগুন’ থেকে মুক্তি লাভের উপায় এবং মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করার প্রতারণামূলক প্রলোভন দিয়ে সংগঠনে যোগ দিতে সরলমনা নারীদের উদ্বুদ্ধ করছে। ইসলামী ছাত্রী সংস্থার পটভূমি বর্ণনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসলামী ছাত্রী সংস্থা’ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো জামায়াতে ইসলামী’র একটি সহযোগী ছাত্রী সংগঠন।

১৯৭৮ সালের ১৫ই জুলাই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গেল বছরগুলোতে এ সংগঠনের বিস্তার ও কোনো কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে কোণঠাসা হওয়ায় ‘বিকল্প ব্যবস্থা’ হিসেবে ‘ইসলামী ছাত্রী সংস্থা’র কার্যক্রম বর্তমানে বেড়ে গেছে।

পাঠকের মতামত

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...

নির্বাচন কমিশন গঠন, নতুন সিইসি কক্সবাজারের সন্তান সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সন্তান অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ ...